সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাচনে স্থানীয় সংসদ সদস্য হুইপ সাইমুম সরওয়ার কমল ও মেয়র মাহবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে।

এ নিয়ে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মুজিবুর রহমানের প্রধান এজেন্ট মোহাম্মদ নজিবুল ইসলাম।

অভিযোগটি হুবহু নিম্নে তুলে ধরা হলো :

আমি আসন্ন কক্সবাজার সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মুজিবুর রহমানের প্রধান এজেন্ট হই, নির্বাচনে নিজের পছন্দের চেয়ারম্যান প্রার্থীর স্বপক্ষে অবস্থান নিয়ে পক্ষপাতমূলক আচরণ করছেন কক্সবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য হুইপ সাইমুম সরওয়ার কমল। শুধু তাই নয়, হুইপ নিজে ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করে পৌরসভার মেয়র, কাউন্সিলর এবং ৫ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মেম্বারদের জোরপূর্বক নিজের বাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়ে পছন্দের প্রার্থীকে জেতানোর নীল নকশা তৈরি করছেন। সবার হাতে দিচ্ছেন মোটা অঙ্কের টাকাও।
এমনকি তাঁর পছন্দের প্রার্থী মোটর সাইকেল প্রতীকের নুরুল আবছারকে ছলে বলে কৌশলে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করার জন্য নিয়মিত হুমকি ধুমকি দিয়ে যাচ্ছেন এমপি কমল। হুইপের প্রভাব দেখিয়ে বিভিন্ন সভা সমাবেশে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজও করছেন তিনি। হুংকার দিচ্ছেন ওনার কথা না শুনলে পরিণতি খারাপ হবে।

অন্যদিকে ৫ ইউনিয়নের ৫ জন চেয়ারম্যান ও ৬০ জন মেম্বার-মহিলা মেম্বারকে বিভিন্ন প্রকল্প দিয়ে মোটর সাইকেল প্রতীকের পক্ষে ভোট করার জন্য বাধ্য করছেন সদর আসনের এমপি কমল। এতে করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার সরকারি এবং দলীয় নির্দেশনা অমান্য হচ্ছে। কারণ তিনি সুস্পষ্টভাবে বলেছেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এমপি এবং মন্ত্রীদের হস্তক্ষেপ না করার জন্য। অথচ, সরকার প্রধানের কঠিন নির্দেশনার পরও তার উল্টোটা করছেন এমপি সাইমুম সরওয়ার কমল। বিশেষ করে ১ মে বুধবার বাংলাবাজারের দি কিং কমিউনিটি সেন্টারে নুরুল আবছারের মোটর সাইকেল প্রতীকের সমর্থনে কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র-কাউন্সিলর এবং উপজেলার ৫ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান-মেম্বারদের নিয়ে ষড়যন্ত্রমূলক সভা আহ্বান করেছেন এমপি নিজে। যা পুরোপুরি আচরণ বিধি লঙ্গন।

এক আবেগঘন স্ট্যাটাস দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন ইমরুল হাসান রাশেদ

তিনি সুন্দর একটি অবাধ নিরপেক্ষ এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে প্রহসনের নির্বাচনে পরিণত করছেন। স্থানীয় সাংসদ প্রশাসনকেও তার পছন্দের প্রার্থীকে জেতানোর জন্য নানাভাবে চাপ প্রয়োগ করছেন বলে আমাদের কাছে তথ্য আছে।


ইতোমধ্যে আমাদের অনেক কর্মী-সমর্থককে মামলা হামলার হুমকি দিচ্ছেন বেপরোয়াভাবে।

এছাড়াও কক্সবাজার শহরের বিভিন্ন জায়গায় পৌরসভার সরকারি গাড়ি ব্যবহার করে মোটর সাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর ব্যানার-পোস্টার লাগাচ্ছে পৌরসভার কর্মচারীরা।

মেয়র মাহবুবুর রহমানের নির্দেশে পৌরসভার কর্মচারীরা চেয়ারম্যান প্রার্থী নুরুল আবছারের পক্ষে সরকারি গাড়ি ব্যবহার করে শহরে ব্যানার-পোস্টার লাগাচ্ছেন।

একইসাথে মেয়র মাহবুব নিজেও নির্বাচন কমিশনের আচরণ বিধি লঙ্ঘন করে প্রতিনিয়ত আমাদের প্রার্থী কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জননেতা মুজিবুর রহমান এবং তার পক্ষে যারা কাজ করছেন তাদের নাম ধরে ধরে জনসম্মুখে গালিগালাজ করছে।

এমতাবস্থায় আগামী ৮ মে অনুষ্ঠিতব্য কক্সবাজার সদর উপজেলায় অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিয়ে আমরা শঙ্কা প্রকাশ করছি।
এ নিয়ে জেলা রিটানিং অফিসার মহোদয়ের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন মুজিবুর রহমানের প্রধান এজেন্ট কক্সবাজার পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ নজিবুল ইসলাম।

প্রসঙ্গত: একই অভিযোগের অনুলিপি, সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশন সচিব বরাবরে প্রেরণ করা হয়েছে।

খবর পড়ুন:

কক্সবাজার সিজেএম কোর্টের সম্প্রসারিত ভবনের উদ্বোধন

কক্সবাজার পৌরসভায় ৩ টি প্রকল্প বাস্তবায়নের পরিকল্পনা

হাইকোর্টে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েই হামলার শিকার ব্যবসায়ী, শাহবাগ থানায় মামলা

আরও খবর পেতে যুক্ত থাকুন CoxsbazarNEWS.com এর সাথে।